জীবনে অনেক পাপ করেছিলাম ।কিন্তু এই যে একটা পাপ করে ফেলেছি দুই বছর আগে তার ফল হয়তো আমায় সারাজীবন ভুগতে হবে ।প্রিয়ার সাথে প্রেম ।ইলেভেনে পড়ছি তখন ।ধুবুলিয়া দেশবন্ধু হাই স্কুল ।কো এড স্কুল ।মেয়ে নিয়ে পাগলামি কখনো ছিলোনা ।ইলেভেনে একটা মেয়ের সাথে পরিচিতি হলো ।প্রিয়া ।বন্ধুত্ব ।কিন্তু সেই বন্ধুত্ব যে এভাবে আমার সর্বনাশ করবে বুঝতে পারিনি ।আসলে আমি একটু হিসেব করে চলতাম ।এখনো চলি ।প্রিয়ার ভাষায় সেটা নাকি আমার কিপ্টেমি ।তখন একসাথে পড়তে যেতাম ।একসাথে ফিরতাম ।রাস্তায় দাড়িয়ে সবসময় কিছু না কিছু খেতে হতো ।আমার না খেলেও চলতো ।ওর খেতে হতো ।কিন্তু টাকা আমায় দিতে হতো ।একদিন পড়তে যাচ্ছি ,রাস্তায় ফুচকার দোকানের সামনে দাড়িয়ে পড়লো ও হটাত ।বলে ,-“এই সুমন ,ফুচকা খাওয়া না ।” আমার যেন বুকের মধ্যে তখন ঝড় বইছে ।ফুচকা মানে দশ যোগ দশ কুড়ি টাকা ,বাপরে বাপ । -“খাওয়া না খাওয়া না ।প্লিজ ।প্রমিজ কাল আমি খাওয়াবো ।” আমি বললাম -” ঠিক আছে ।তাহলে খাওয়া হোক ।কিন্তু কাল তোকে খাওয়াতে হবে ।” -“আরে হ্যা আমি খাওয়াবো ।বলছি তো ।” খাওয়া হলো ।দশ টাকার ফুচকা ।পরদিন পড়তে যাওয়ার সময় ,ও আমাকে মোমোর দোকানে ডাকলো ।আমি তো মহা খুশি ।দশ টাকা যদি ও তিরিশ টাকা খাইয়ে শোধ করে তাহলে অসুবিধা কি ? গেলাম তেমন ।মোমো খেলাম ।ষাট টাকা ।উমা ,দেখি মেয়ে আমার হাতে কুড়ি টাকা দিয়ে দোকান থেকে বেড়িয়ে গেলো ।এখন এই অবস্থায় আমি একটা জিনিস দেখেছি এই দোকানদার গুলো টাকা নেওয়ার জন্য ছেলেদের কাছেই আসে ।কেনো বাপু ?আমার বাবার কি টাকশাল আছে ?লজ্জায় পড়ে দিতে হলো বাকি টাকা ।বাইরে বেড়িয়ে এসে বললাম ,”এটা কি করলি তুই ?” -কি করলাম ?” -“কুড়ি টাকা দিলি কেনো ?” -“কাল তো কুড়ি টাকাই খাইয়েছিলি তুই ।তা আর কত দেবো ?” -“তো মোমোর তো ষাট টাকা হয়েছিলো ।” -“সে হয়েছিলো কিন্তু তুই তো কুড়ি টাকা খাইয়েছিলি ।” -“উফফ কি বিরক্তিকর ।চুপ কর ।” এভাবে রোজ আমাকে কোনো না কোনো ভাবে ফাঁদে ফেলে আমার টাকা গুলোর সর্বনাশ করতো ।আমিও ওর ফাঁদে পড়ে যেতাম ।আর সবসময় বলতো ,”তোর এতো কিপ্টেমি কিসের ?” বুঝুন ।খাওয়াবো আমি আর আমাকেই কিপটে বলবে ।মাঝে মধ্যে মনে হয় চুলের মুটি টেনে ধরি ।কিন্তু মেয়েদের মারলে পুলিশের ঝামেলা হয় শুনেছি ।তাই ঝামেলায় জড়াতে চাইনা ।নাহলে কবেই খুন পর্যন্ত করে দিতে পারতাম ।কিন্তু মেয়েটা খারাপ না বুঝলেন দাদা ।মেয়েটার মন টা খুব সরল ।কিন্তু ওই যে বললাম ,সবসময় কি ভাবে আমার টাকা খরচ করাবে সেই চিন্তায় থাকে ।তখন টুয়েলভ এ পড়ি আমরা ।একদিন ডাকলো আমায় দেখা করার জন্য ।একটা নোট দরকার ওর ।কিন্তু এবার আমি মানি ব্যাগ সাথে নিলামই না ।যাতে ও কোনোরকম চালাকি করতে না পারে ।গেলাম ওর বাড়ি ,বললো -“বোস এখানে ।” বসলাম ।ভাবলাম কিছু খেতে দেবে ।চা নিয়ে আসলো ।ভাবলাম হয়তো এখানেই শেষ হবেনা ।কেমন বিরিয়ানি বিরিয়ানি গন্ধ লাগলো নাকে ।উফ ।খিদে টা যেনো মাথায় চড়ে গেলো ।বললাম “বিরিয়ানি বিরিয়ানি গন্ধ নাকে ঠেকছে কেমন ।কোনো উৎসব নাকি ?” বললো “উৎসব নয় ,আসলে আজ অতিথি আসবেন ।” -“ও,তা কে ?” -“দেখতে আসছে আমায় ।ছেলে ইঞ্জিনিয়ার ।” মন টা না একটু খারাপ লাগলো ।মেয়েটা খুব ভালো বন্ধু ছিলো আমার ।তাও হাসি মুখে বললাম ,”তো আমার জন্য নয় ?আমি ভাবলাম আমার জন্য রান্না হচ্ছে ।” -“ওরে আমার প্রধানমন্ত্রী রে ।তা তুমি কে হে বাপু ?যে তোমার জন্য মা বিরিয়ানি রাঁধতে বসবে ?” -“হ্যা তা বটে ।ঠিক আছে।চললাম রে ।টাটা ।” -“আরে শোন তো ।” -“কি হলো ?” -“বিরিয়ানি খাবি ?” -“না ।আমি কুকুর নাকি ?” -“আচ্ছা ।খাস না ।তুই যা তাহলে ।আমি তো বিরিয়ানি খাবো ।উফফ ,বিরিয়ানির সাথে সেই সেদ্ধ ডিম ,সাথে চিকেনের ওই লেগ পিস টা ।উফফ ,গরম গরম আলু ,প্লেট টা থেকে ধোঁয়া উঠবে ।আমি সেটা জিভে দেবো ।চেটে পুটে খাবো আজ ।যা রে তুই যা ।” কথা গুলো শোনার পর আমি যেন আর নিয়ন্ত্রণ করতে পারছিনা নিজেকে ।কুকুর হয়ে গেলাম হয়তো ।-“দে দে ।খেয়ে যাই ।” -“শর্ত আছে ।” -“উফ আবার শর্ত কিসের ?” -“আমাকে রোজ খাওয়াতে হবে ।” -“আরে খাওয়াবো ,তুই বিরিয়ানি দে বাপ ।” -“রোজ আমার পাশে বসতে হবে ।আমার সাথেই গল্প করতে হবে ।আর অন্য মেয়ের সাথে খুচরো আলাপ করা যাবেনা ।” -“আরে হ্যা করবনা বিরিয়ানি দে ।” -“আমাকে খুব ভালবাসতে হবে ,আর এখনি আমাকে প্রপোজ করতে হবে ।” -“হ্যা তাই করবো ,তুই যা বলবি…… অ্যা ?মানে ?তোকে বলে দেখতে আসবে এখনি ?” -“তুই শর্ত মানলে বিরিয়ানি পাবি ,বাকি সব চিন্তা আমার উপর ছেড়ে দে ।” ভাবলাম মেয়েটা কে খারাপ তো লাগেনা আমার তার থেকেও বড় কথা এখন বিরিয়ানী টা খেতে হবে ।ঝটপট প্রপোজ মেরে বললাম -“এবার তো দে রে ।” -“ভালো ভাবে হয়নি ।” আবার প্রপোজ করলাম ।এবার একটু ভালো করে। -“ওরে এবার তো দে ।” -“দিচ্ছি চাঁদু ।আজ ঘরে তুইই অতিথি ।বিরিয়ানি তোর জন্যই হচ্ছে রে ।দাঁড়া একটু ।মা ,ও মা ।হলো তোমার ?” নিচের থেকে আওয়াজ আসলো ,হ্যা এই তো নিয়ে আসছি দাঁড়া একটু ।”
জীবনে অনেক পাপ করেছিলাম ।কিন্তু এই যে একটা পাপ করে ফেলেছি দুই বছর আগে তার ফল হয়তো আমায় সারাজীবন ভুগতে হবে ।প্রিয়ার সাথে প্রেম ।ইলেভেনে পড়ছি তখন ।ধুবুলিয়া দেশবন্ধু হাই স্কুল ।কো এড স্কুল ।মেয়ে নিয়ে পাগলামি কখনো ছিলোনা ।ইলেভেনে একটা মেয়ের সাথে পরিচিতি হলো ।প্রিয়া ।বন্ধুত্ব ।কিন্তু সেই বন্ধুত্ব যে এভাবে আমার সর্বনাশ করবে বুঝতে পারিনি ।আসলে আমি একটু হিসেব করে চলতাম ।এখনো চলি ।প্রিয়ার ভাষায় সেটা নাকি আমার কিপ্টেমি ।তখন একসাথে পড়তে যেতাম ।একসাথে ফিরতাম ।রাস্তায় দাড়িয়ে সবসময় কিছু না কিছু খেতে হতো ।আমার না খেলেও চলতো ।ওর খেতে হতো ।কিন্তু টাকা আমায় দিতে হতো ।একদিন পড়তে যাচ্ছি ,রাস্তায় ফুচকার দোকানের সামনে দাড়িয়ে পড়লো ও হটাত ।বলে ,-“এই সুমন ,ফুচকা খাওয়া না ।”
আমার যেন বুকের মধ্যে তখন ঝড় বইছে ।ফুচকা মানে দশ যোগ দশ কুড়ি টাকা ,বাপরে বাপ ।
-“খাওয়া না খাওয়া না ।প্লিজ ।প্রমিজ কাল আমি খাওয়াবো ।”
আমি বললাম -” ঠিক আছে ।তাহলে খাওয়া হোক ।কিন্তু কাল তোকে খাওয়াতে হবে ।”
-“আরে হ্যা আমি খাওয়াবো ।বলছি তো ।”
খাওয়া হলো ।দশ টাকার ফুচকা ।পরদিন পড়তে যাওয়ার সময় ,ও আমাকে মোমোর দোকানে ডাকলো ।আমি তো মহা খুশি ।দশ টাকা যদি ও তিরিশ টাকা খাইয়ে শোধ করে তাহলে অসুবিধা কি ?
গেলাম তেমন ।মোমো খেলাম ।ষাট টাকা ।উমা ,দেখি মেয়ে আমার হাতে কুড়ি টাকা দিয়ে দোকান থেকে বেড়িয়ে গেলো ।এখন এই অবস্থায় আমি একটা জিনিস দেখেছি এই দোকানদার গুলো টাকা নেওয়ার জন্য ছেলেদের কাছেই আসে ।কেনো বাপু ?আমার বাবার কি টাকশাল আছে ?লজ্জায় পড়ে দিতে হলো বাকি টাকা ।বাইরে বেড়িয়ে এসে বললাম ,”এটা কি করলি তুই ?”
-কি করলাম ?”
-“কুড়ি টাকা দিলি কেনো ?”
-“কাল তো কুড়ি টাকাই খাইয়েছিলি তুই ।তা আর কত দেবো ?”
-“তো মোমোর তো ষাট টাকা হয়েছিলো ।”
-“সে হয়েছিলো কিন্তু তুই তো কুড়ি টাকা খাইয়েছিলি ।”
-“উফফ কি বিরক্তিকর ।চুপ কর ।”
এভাবে রোজ আমাকে কোনো না কোনো ভাবে ফাঁদে ফেলে আমার টাকা গুলোর সর্বনাশ করতো ।আমিও ওর ফাঁদে পড়ে যেতাম ।আর সবসময় বলতো ,”তোর এতো কিপ্টেমি কিসের ?”
বুঝুন ।খাওয়াবো আমি আর আমাকেই কিপটে বলবে ।মাঝে মধ্যে মনে হয় চুলের মুটি টেনে ধরি ।কিন্তু মেয়েদের মারলে পুলিশের ঝামেলা হয় শুনেছি ।তাই ঝামেলায় জড়াতে চাইনা ।নাহলে কবেই খুন পর্যন্ত করে দিতে পারতাম ।কিন্তু মেয়েটা খারাপ না বুঝলেন দাদা ।মেয়েটার মন টা খুব সরল ।কিন্তু ওই যে বললাম ,সবসময় কি ভাবে আমার টাকা খরচ করাবে সেই চিন্তায় থাকে ।তখন টুয়েলভ এ পড়ি আমরা ।একদিন ডাকলো আমায় দেখা করার জন্য ।একটা নোট দরকার ওর ।কিন্তু এবার আমি মানি ব্যাগ সাথে নিলামই না ।যাতে ও কোনোরকম চালাকি করতে না পারে ।গেলাম ওর বাড়ি ,বললো -“বোস এখানে ।”
বসলাম ।ভাবলাম কিছু খেতে দেবে ।চা নিয়ে আসলো ।ভাবলাম হয়তো এখানেই শেষ হবেনা ।কেমন বিরিয়ানি বিরিয়ানি গন্ধ লাগলো নাকে ।উফ ।খিদে টা যেনো মাথায় চড়ে গেলো ।বললাম “বিরিয়ানি বিরিয়ানি গন্ধ নাকে ঠেকছে কেমন ।কোনো উৎসব নাকি ?”
বললো “উৎসব নয় ,আসলে আজ অতিথি আসবেন ।”
-“ও,তা কে ?”
-“দেখতে আসছে আমায় ।ছেলে ইঞ্জিনিয়ার ।”
মন টা না একটু খারাপ লাগলো ।মেয়েটা খুব ভালো বন্ধু ছিলো আমার ।তাও হাসি মুখে বললাম ,”তো আমার জন্য নয় ?আমি ভাবলাম আমার জন্য রান্না হচ্ছে ।”
-“ওরে আমার প্রধানমন্ত্রী রে ।তা তুমি কে হে বাপু ?যে তোমার জন্য মা বিরিয়ানি রাঁধতে বসবে ?”
-“হ্যা তা বটে ।ঠিক আছে।চললাম রে ।টাটা ।”
-“আরে শোন তো ।”
-“কি হলো ?”
-“বিরিয়ানি খাবি ?”
-“না ।আমি কুকুর নাকি ?”
-“আচ্ছা ।খাস না ।তুই যা তাহলে ।আমি তো বিরিয়ানি খাবো ।উফফ ,বিরিয়ানির সাথে সেই সেদ্ধ ডিম ,সাথে চিকেনের ওই লেগ পিস টা ।উফফ ,গরম গরম আলু ,প্লেট টা থেকে ধোঁয়া উঠবে ।আমি সেটা জিভে দেবো ।চেটে পুটে খাবো আজ ।যা রে তুই যা ।”
কথা গুলো শোনার পর আমি যেন আর নিয়ন্ত্রণ করতে পারছিনা নিজেকে ।কুকুর হয়ে গেলাম হয়তো ।-“দে দে ।খেয়ে যাই ।”
-“শর্ত আছে ।”
-“উফ আবার শর্ত কিসের ?”
-“আমাকে রোজ খাওয়াতে হবে ।”
-“আরে খাওয়াবো ,তুই বিরিয়ানি দে বাপ ।”
-“রোজ আমার পাশে বসতে হবে ।আমার সাথেই গল্প করতে হবে ।আর অন্য মেয়ের সাথে খুচরো আলাপ করা যাবেনা ।”
-“আরে হ্যা করবনা বিরিয়ানি দে ।”
-“আমাকে খুব ভালবাসতে হবে ,আর এখনি আমাকে প্রপোজ করতে হবে ।”
-“হ্যা তাই করবো ,তুই যা বলবি…… অ্যা ?মানে ?তোকে বলে দেখতে আসবে এখনি ?”
-“তুই শর্ত মানলে বিরিয়ানি পাবি ,বাকি সব চিন্তা আমার উপর ছেড়ে দে ।”
ভাবলাম মেয়েটা কে খারাপ তো লাগেনা আমার তার থেকেও বড় কথা এখন বিরিয়ানী টা খেতে হবে ।ঝটপট প্রপোজ মেরে বললাম -“এবার তো দে রে ।”
-“ভালো ভাবে হয়নি ।”
আবার প্রপোজ করলাম ।এবার একটু ভালো করে।
-“ওরে এবার তো দে ।”
-“দিচ্ছি চাঁদু ।আজ ঘরে তুইই অতিথি ।বিরিয়ানি তোর জন্যই হচ্ছে রে ।দাঁড়া একটু ।মা ,ও মা ।হলো তোমার ?”
নিচের থেকে আওয়াজ আসলো ,হ্যা এই তো নিয়ে আসছি দাঁড়া একটু ।”